জিলহজের প্রথম ১০ দিনের আমল ফজিলত
জিলহজের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত
আস্সালামুআলাইকুম,আজ আমরা জিলহজের প্রথম ১০ নিনের কিছু আমল নিয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যে চারটি হারাম মাসের কথা বলেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো জিলহজ/জিলহজ্জ মাস।
প্রিয় পাঠকগণ সকলকে জিলহজ মাসের আহলান সাহলান।
জিলহজ্জ মাসের ফজিলত, জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল কেন এতো গুরুত্ব এবং কেন এই মাসকে অনন্য করা হয়েছে এই সম্পর্কে কয়েকটি কারন পাওয়া যায় যেমনঃ
জিলহজ/যিলহজ মাস হজের মাস ।
জিলহজ/যিলহজ মাসে কুরবানি।
জিলহজ/যিলহজ মাসে আরাফার দিন।
জিলহজ মাসের ফজিলত সম্পর্কে কোরআন
জিলহজ্জ মাসের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন,
وَ الۡفَجۡرِ০ وَ لَیَالٍ عَشۡرٍ
অর্থঃ 1) কসম ভোরবেলার। ২) কসম দশ রাতের। ( সুরা ফজর আয়াত নং 1-2)
এখানে আল্লাহ ভরের কসমের পর দশ রাতের কসম করেছেন। এই আয়াতের তাফসীর সম্পর্কে কোরানের শ্রেষ্ঠ তাফসির কারক আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেন যে, এখানে আল্লাহ দশ রাত বলতে জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত কে বুঝিয়েছেন। (ইবনে কাসীর)
জিলহজ মাসের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
জিলহজ্জ মাসের আমল ও ফজিলত সম্পর্কে রাসুল সাঃ বলেন,
জিলহজের প্রথম ১০ দিনের নেক আমল করার চেয়ে অন্য কোন নেক আমল করা আল্লাহ তায়ালার নিকট এতো বেশি উত্তম নয়। তখন সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? রাসূলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তির কথা ভিন্ন যে নিজের জান ও মাল নিয়ে জিহাদে বের হয় আর ফিরে আসেনি”। ( আবু দাউদ- ২৩৪৮, বুখার-: ৯৬৯, তিরমিযী- ৭৫৭, ইবনে মাজাহ- ১৭২৭, মুসনাদে আহমাদ: ১/২২৪)
জিলহজ্জ মাসের আমল
চলুন এখন আমরা জিলহয মাসের কয়েকটি আমল জেনে নেই।
এই মাসে বেশি বেশি নেক আমল করা । কেননা হাদিসে আছে এই মাসের যে আমল কর হয় তা অন্য সকল মাসের আমলের চেয়ে উত্তম।
জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটা এই সম্পর্কে একটি হাদিসি আছে যে,উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমরা যখন যিলহজ মাসের চাঁদ দেখ এবং তোমাদের মধ্যে কেউ কোরবানি করার সংকল্প করে, তখন সে যেন তার চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে‘ ( আবু দাউদ -২৭৯১ ও সহিহ মুসলিম-১৯৭৭)
বেশি বেশি তাকবির পড়া। এই সম্পর্কে রাসুল সাঃ বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহর নিকট জিলহজের প্রথম দশ দিনের আমলের চেয়ে অধিক মহৎ এবং অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নাই। সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি বেশি ”লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদুলিল্লাহ” পড়ো। (মুসনাদে আহমদ-৫৪৪৬, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা-১৪১১০)
অনেকেই প্রশ্ন করেন জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি? জিলহজ মাসের রোজা সম্পর্কে হাদিসে আছে, আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন: আল্লাহর নিকট ইবাদতের দিক থেকে জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের তুলনায় অধিক পছন্দনীয় কোনো আমলের দিন নেই। যার প্রতিদিনের রোজা এক বছরের রোজার সমান এবং প্রতিটি রাত্রের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য। (তিরমিজি শরিফ:-১/১৫৮)
৯ জিলহজ্জ আরাফার দিন এই সম্পর্কে রাসুল সাঃ বলেন, আবু কাতাদাহ রাঃ থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন- আরাফার দিনের (৯ তারিখ) একটি রোজা পূর্বের ও পরের এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। (তিরমিজি শরিফ:- ১/১৫৭)
নোটঃ
জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত নিয়ে এই ছিলো আমাদের ছোট্ট আলোচনা যদি আলোচনাটি ভালো লাগে আমাদেরকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন । আমরা ইনশাল্লাহ এরকম আলো আলোচনা নিয়ে আসব আপনাদের মাঝে। আল্লাহ আমাদের সকলকে জিলহজ মাসে বেশি বেশি আমল করার তাওফিক দান করুন……আমিন।
সূচিঃ
কোন মন্তব্য নেই
Thank you for your comment.